“শিক্ষা হল অন্তর্নিহিত সুপ্ত সম্ভবনার উন্মেষ
সাধন!” সংজ্ঞানুকূলে যে জাতি যত সুশিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত ও সমৃদ্ধ। বলা বাহুল্য
সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জ্ঞান অর্জনের ফলে মানুষের আচরণের ইতিবাচক বা নেতিবাচক
পরিবর্তন ঘটে তাই হল শিক্ষা। পারতপক্ষে আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তনকেই সুশিক্ষা বলা হয়।
শিক্ষা হল জীবনব্যপী দ্বিমুখী প্রক্রিয়া আর এই প্রক্রিয়ার ধারক ও বাহক হলেন শিক্ষক,
জাতির তথা বিশ্ব বিবেক। জীবন যৌবনের স্বপ্ন নির্যাসে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার পরিস্ফুটনে
শিক্ষক সর্বদা নিবেদিত। কি দিবসে কি রজনীতে শ্রান্তি-ক্লান্তিহীন শিক্ষক- “জীবন মন্থ
বিষ নিজ করি পান, অমৃত যা উঠেছিল করে গেছে দান।”
ঋষিসম প্রজ্ঞাবান তত্ত্বদর্শী-ভবিতব্য মনীষাদীপ্ত
শিক্ষকমন্ডলী ১০ নভেম্বর ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির
গোড়াপত্তন করেছিলেন। কালের প্রবাহে তা আজ শিক্ষকদের প্রাণের সংগঠন। বিশ্বাস আর ঐতিহ্যের
ধারায় চলতে চলতে সময়ের চাহিদায় ক্লান্ত সংগঠনের প্রাণের দাবি নীতিমালা। বিগত দিনের
বহু প্রায়াসে তা সূর্য্যালোকের মুখ দর্শন করতে পারেনি। অতিমারি করোনার গর্ভে ২৭ মার্চ
২০২১ শনিবার একই পরিবারের ২৭টি কুড়ি প্রস্ফুটিত হয়ে বেরিয়ে এলো প্রত্যয় আর অঙ্গীকারের
মধ্যে প্যানেল ধরে বিজয়ী হিসাবে।
মহামারি করোনা সংকটকালে সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার
শিক্ষক কর্মচারীগণ অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচন
সুসম্পন্নের মাধ্যমে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত করেন। নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচনী
ইশতেহার মাফিক অতন্দ্র প্রহরীর মত দায়িত্ব ও কর্তব্যে ইতিমধ্যে নিষ্ঠার পরিচয় রেখেছে।
শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের আশা পূরণে নীতিমালা প্রণয়নের এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আমাদের অঙ্গীকার শিক্ষক সমাজের মাঝে যথাসময়ে তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। ডুমুরিয়া
উপজেলার সমগ্র শিক্ষক কর্মচারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই নীতিমালা প্রনয়নের কৃতিত্বের
দাবিদার যা আগামী প্রজন্মের শিক্ষক-কর্মচারীদের কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ রাখবে।
No comments:
Post a Comment